মঙ্গলবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে রেলপথে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৭৯ জন নিহত, ৪৩ জন আহত হয়েছে। এছাড়া নৌ পথে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলে সর্বমোট ৪৮৬টি দুর্ঘটনায় ৫৮২ জন নিহত এবং ৮১৯ জন আহত হয়েছে।
এ সময়ে ৪১৫টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ১৬৭টি, যেখানে ১৯২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১১১ জন, যা মোট দুর্ঘটনার ৪০.২৪ শতাংশ। আর নিহতের ৩৮.৬৩ শতাংশ ও আহতের ১৪.৮৬ শতাংশ।
নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঐ মাসে ঢাকায় ১০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত ও ২৬৪ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে। এ বিভাগে ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৫৩ জন চালক, ১১৬ জন পথচারী, ১১৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৭ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ৬৭ জন নারী, ৩৫টি শিশু, সাংবাদিক ৭ জন, ১ জন চিকিৎসক, ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং ০২ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর ২ সদস্য, ১৬৭ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৫ জন পথচারী, ৫৫ জন নারী, ২৭টি শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ২১ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক, ০১ জন চিকিৎসক, ২ জন সাংবাদিক, ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
দুর্ঘটনায় পতিত যানবাহনের মধ্যে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ১০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস, ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস।
মোট দুর্ঘটনার ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১ দশমিক ৬৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ বিবিধ কারণে ঘটা ঘটনা, শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনে সংঘর্ষের ঘটনা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নভেম্বরে মোট দুর্ঘটনার ৩০ দশমিক ৮৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবং ০ দশমিক ৭২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
ডেইলি-বাংলাদেশ