বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের জেল, জুলুম, নির্যাতন ও বাধার কারনে ১৭ বছর কোন কর্মী সন্মেলন করতে পারেনি বাংলাদশে জামায়াতে ইসলামী কুমারখালী শাখা। জুলাই বিপ্লবের পরবর্তীতে স্থানীয় সংগঠন সু-সংগঠিত করার লক্ষে কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে সভা-সমাবেশ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুমারখালী পৌর জামায়াতে ইসলামী কর্মী সন্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৫ই নভেম্বর শুক্রবার সকালে কুমারখালীর পৌর শহরস্থ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে কর্মী সন্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মলেনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক মো: ফরহাদ হুসাইন, কুমারখালী উপজেলা জামায়াতে আমির আফতাব উদ্দীন, কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আফজাল হুসাইন। কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন পৌর আমীর এ্যাড. রবিউল ইসলাম । এছাড়াও সন্মেলনে উপজেলা ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
সাবেক শিবির নেতা ও পৌর জামায়াতে আমীর অ্যাডঃ রবিউল ইসলাম এব্যাপারে বলেন, বিগত সময় আমরা ফ্যাসিস্ট দ্বারা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী জেল খেটেছেন, এখনো অনেকের নামে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি, ফ্যাসিবাদের আইকন হাসিনা সরকারের পতন ত্বরান্বিত করেছি। তারই ধারাবাহিকতা হিসেবে জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে সংগঠন সুসংগঠিত করার লক্ষে কর্মী সন্মেলনের আয়োজন করেছি ।
পৌর জামায়াত নেতা কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর এতো বড় আয়োজন স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক আন্দোলন দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্মী সন্মেলনের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্হানীয় সংগঠন আরো সুসংগঠিত হবে।
এদিকে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে শহর ও শহরতলীতে জামাায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আনন্দ উৎসবের আমেজ।