নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ৫ জেলেকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও প্রায় ১২ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধায় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া বাজার এলাকায় মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী আদালত পরিচালনা করা হয়। পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। এসময় উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এছাড়াও জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতমিখানায় প্রদান করা হয়।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুমারখালীর গোবিন্দপুর গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে আব্দুর রহিম (৩২) ও খোরশেদপুর গ্রামের হাসেফ শেখের ছেলে মো. হাসান (৪৩), খোকসা উপজেলার পূর্ব আমবাড়িয়া এলাকার রহমতের ছেলে মো. লিটন (৩০), পাবনা সদর উপজেলার পীরপুর গ্রামের চাঁদ মোল্লার ছেলে শহিদ মোল্লা (৪৯) ও চর বললামপুর এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে সাহেব আলী (৩৫)।উপজেলা জ্যেষ্ঠা মৎস্য কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এসময় ইলিশ ধরা, আরোহন, পরিবহন ও বিক্রয় নিষেধ।
আইন অমান্যকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও উভয় দণ্ডও হতে পারে। এ উপজেলায় পদ্মা নদীর প্রায় আট কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মা ইলিশের প্রজনন রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তারা।এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, গতকাল শনিবার দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৫ জেলেকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত প্রায় দুই হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। এবং জব্দকৃত প্রায় ১২ কেজি মাছ এতিমখানায় প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।