বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুমারখালী ইউনিয়ন পরিষদের তালা খুললেও সেবা বন্ধ কুমারখালী-যদুবয়রা সেতুতে জ্বলেনা বাতি-৩৬ লাইটের ৩৫টিই নষ্ট ঃ বাড়ছে দূর্ঘটনা ও অপরাধ কুমারখালীতে চারা রোপনে ব্যস্ত পেঁয়াজ চাষিরা দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ সভাপতি পুলক, সা. সম্পাদক আজমল — প্রেসক্লাব খোকসার কমিটি গঠন সরকার বাসস, বিটিভির ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছে সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা কুমারখালী উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রত্যেক যুবক-যুবতির হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে গড়বো-কুষ্টিয়ায় জামায়াতের বিশাল কর্মী সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান শিক্ষকদের পেশাকে প্রথম শ্রেণীর পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

কুমারখালী-যদুবয়রা সেতুতে জ্বলেনা বাতি-৩৬ লাইটের ৩৫টিই নষ্ট ঃ বাড়ছে দূর্ঘটনা ও অপরাধ

মাহমুদ শরীফ / ৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ৩:৪৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী-যদুবয়রা গড়াই নদীর উপর ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫০ মিটার পিসি গার্ডার সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ২০২৩ সালের ২৮ জুন। সেতু চালুর বছর না পেরুতেই ৩৬টি লাইটের ৩৫টিই নষ্ট। সেতুতে আলো না থাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সেতু চালুর পর থেকেই একটি দুইটি করতে করতে ৩৫টি লাইটই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সেতুতে দূর্ঘটনা, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে আজগর আলী (৪০) নামের এক চালককে সেতুর ওপর থেকে নিচে ফেলে দিয়ে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রতিটি লাইট স্থাপনে খুঁটি, তার, বাল্ব ও শ্রমিক বাবদ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গড়াই নদীর উপর ৮৯ কোটি ৯১ লাখ ব্যয়ে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি গার্ডার সেতুটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিল নেশনটেক কমিনিকেশন লিমিটেড ও রানা বিল্ডার্স লিমিটেড (যৌথভাবে)। ২০২৩ সালের ২৬ জুন কাজ শেষে হস্তান্তর করে ঠিকাদার। ২৮ জুন সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুর ৩৬টি লাইট জ্বালাতে মাসে ২৫ হাজার টাকা বিদ্যুত বিল গুণতে হয় সরকারকে। বরাদ্দ না থাকায় বিল বকেয়ার কারণে কয়েকমাস বন্ধ ছিল লাইট। তবে সম্প্রতি বিল পরিশোধ করে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টেকনিকাল কারণে ৩৫টি লাইট অকেজো হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গড়াই নদীর দক্ষিণপাশে পাঁচ ইউনিয়ন এবং উত্তরপাশে কুমারখালী পৌরসভা এবং আরো পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ছয় লাখ মানুষের বসবাস। তারা নিত্য প্রয়োজন মেটাতে দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টা সেতু দিয়ে চলাচল করে। সেতুর লাইট গুলো অকেজো থাকায় তারা আতঙ্কিত।
রাতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দক্ষিণপাশে শুধু একটি লাইট জ্বলছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। বিনোদনের জন্য এসেছেন কেউ কেউ। এসময় এক দম্পতি বলেন, শত শত মানুষ সেতুতে বিনোদনের জন্য আসেন। রাতে লাইট জ্বললে সেতুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
ভ্যানচালক মুকুল ইসলাম বলেন, রাতে সেতুর ওপর ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। সেদিন একজনের ভ্যান ছিনতাই হয়েছে। এতে রাতে সেতুতে আসতে ভয় করে। তিনি লাইটগুলো জ্বালানোর দাবি জানান।
স্থানীয় ফিরোজা খাতুন। তিনি বলেন, গতবছর সেতুতে আলো জ্বলত। অনেকেই ঘুরতে আসত রাতে। এখন দেশের পরিবেশ খারাপ, সন্ধার পর তেমন লোকজন থাকেনা। বেচা-বিক্রিও কম এবার।
কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বকেয়া বিল পরিশোধ করে পুনরায় বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে টেকনিক্যাল কারণে মাত্র একটি লাইট জ্বলছে। অন্যান্য লাইটগুলো পরিবর্তন করে খুব দ্রুতই আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রকৌশল আশিক আলী জানান, বিদ্যুত বিল বকেয়ার কারণে লাইট বন্ধ ছিল কয়েক মাস। সেজন্য লাইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ফোনে বলেন, প্রতিটি লাইটে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৬ জুন কাজ শেষে সেতুটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এক বছর পর্যন্ত মেরামতের সময় ছিল। সেসময়ও শেষ হয়েছে। এখন এলজিইডি দেখবেন বিষয়টি। লাইট বন্ধ থাকায় চলাচলকারীরা আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে এলজিইডির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর