বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবসটিকে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট টিম। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের এই দিনে বাংলাদেশের তিন রেকর্ড হয়েছে।
মারদাঙ্গা এই ম্যাচে অধিনায়কের কীর্তি ছিল দেখার মতো। দলকে উইকেটের পেছনে নির্দেশনা দিয়ে জয়ের পথ বেছে দিয়েছেন তিনি।
যদিও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। সিরিজে শূন্য হাতেও ফিরেছেন তিনি। বাংলাদেশের নাম্বার সিক্সটিন যে উইকেটের পেছনে বেশ কার্যকর তা প্রমাণ করেছেন এই ম্যাচ দিয়েই। তার সুবাদে রেকর্ডের পাতায় নাম তুলেছেন লিটন।
বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক হিসেবে টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের নতুন রেকর্ড গড়েছেন লিটন কুমার দাস। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৫ ডিসমিসাল ছিল তার। নিকোলাস পুরানকে করেছেন স্ট্যাম্পিং। ক্যাচ নিয়েছেন রভম্যান পাওয়েল, আন্দ্রে ফ্লেচার, রস্টন চেজ এবং গুদাকেশ মোতির।
লিটন এই কীর্তির পথে পেছনে ফেলেছেন তার নিজেরসহ নুরুল হাসান সোহান এবং মুশফিকুর রহিমের ৩ ডিসমিসালের ৪ রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুশফিকের ছিল ৩ ডিসমিসাল। সোহানের ২০২১ বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনি এবং ২০২২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ডিসমিসাল ছিল। আর চট্টগ্রামে লিটন দাস তার ৩ ডিসমিসাল পেয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
বোলারদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এ দিন জোড়া শিকার করেন, ছুঁয়েছেন তিনিও রেকর্ড। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের নতুন কীর্তি এখন তার। ২০২৪ সালে তাসকিন পেয়েছেন ৫৮ উইকেট। ২০১৮ সালে মুস্তাফিজের ছিল ৫৭ উইকেট। ২০০৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার ছিল ৫৩ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া শেখ মেহেদি হাসানের কীর্তিটাও জায়গা পেতে পারে এই তালিকায়। মাত্র তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৫ রান ও ৪ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন এই অফস্পিন অলরাউন্ডার। এর আগে মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসানের ছিল কীর্তি।