কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেছেন, ইনসাফভিত্তিক মানবতার কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসুন। জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে জাতির কপাল থেকে দায়-দেনার বোঝা সরাতে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। জামায়াতের নেতা-কর্মী আর অন্যান্য দলের নেতা-কর্মী এক নয়, জামায়াতের নেতাকর্মীদের শান্তিময় সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, নির্ভেজাল কর্মী হতে শরিয়তবিরোধী সকল কাজ পরিহার করে সঠিক মুসলিম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আগামীতে সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রজনতার বিপ্লবকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে আবুল হাশেম আরো বলেন, এই বিপ্লব বিপন্ন হলে এমন এক অমানিষার অন্ধকারে ডুবতে হবে, যা থেকে বের হওয়ার হয় তো পথ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তিনি বলেন, এমন একজন ব্যক্তিকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি সমকামীতাকে প্রমোট করেছেন, ছাত্রজনতার আন্দেলনে বিরোধীতা করেছেন। এই চলচিত্র নির্মাতা মস্তফা সরোয়ার ফারুকীর মত অশিক্ষিতকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে। কেননা, এতে সবার অন্তরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, দেশে কী যোগ্য লোকের অভাব পড়েছে যে এমন বিতর্কিত লোককে উপদেষ্টা করতে হবে ? এটা ছাত্রজনতা মেনে নেবে না।
উক্ত কর্মী সম্মেলেনে পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর এ্যাড. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর অর্থ সম্পাদক কামারুজ্জামান মিয়া, কুমারখালী উপজেলা জামায়াতে আমীর আফতাব উদ্দীন এবং কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আফজাল হুসাইন।
বনি আমিনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি ইমরান হোসাইন ও কুমারখালী উপজেলা সভাপতি ইসরাইল হোসেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর সম্মেলন আয়োজন করায় স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আনন্দ উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। সম্মেলন শেষে বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। পাবলিক লাইব্রেরী থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।