কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ দাবীতে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
১৪ নবেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দাবীতে স্থানীয় ছাত্র-জনতার আহবানে হাজারো মানুষ কুমারখালী রেলস্টেশনের সামনে রেল লাইনের উপর সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ঢাকা-খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস টেনের সামনে লাল পতাকা প্রদর্শন করলে স্টেশনের অদুরে দাঁড়িয়ে থাকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন। সাথে সাথে সাধারণ ছাত্র জনতা ট্রেনের ইঞ্জিনের চড়ে স্টপেজ দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে ছাত্র জনতার প্রতিনিধিরা ট্রেন চালকের সাথে আলাপ করে ট্রেনটি কুমারখালী রেল স্টেশন পর্যন্ত আসলে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হুসাইন, যুবদলনেতা জাকারিয়া আনছার মিলন প্রমূখ।
বক্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে সরাসরি ঢাকার সাথে যোগাযোগের নিরাপদ মাধ্যম সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস টেনের স্টপেজ দাবী করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় কুমারখালী রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার মো. শরিফুল ইসলাম বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা মাঝে এসে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটি স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতাকে রেল লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার পর খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস কুমারখালী স্টেশন ত্যাগ করে।