বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ২৮ অক্টোবর নারকীয় তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে। সেদিন শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সারা দেশ থেকে লগি বৈঠা নিয়ে ঢাকায় গিয়ে নির্মম তাণ্ডব চালিয়েছে।
এদিনের নারকীয়তার মধ্য দিয়েই দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছে। দেশপ্রেমিক শক্তিকে সরিয়ে হাসিনার স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার জন্যই সেদিন এ নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়।
এদিনের সূত্র ধরেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। একই কায়দায় জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের নির্মম হত্যাকাণ্ড করেছিল এ আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি অবিলম্বে ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর এবং সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করার দাবি জানান।
তিনি সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে বড়াইগ্রাম পৌরসভা চত্বরে উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের উদ্যোগে ভয়াল ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল আউয়াল মমিনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল হাকিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা তালিমুল কুরআনের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা হাসেম আলী মীর ও সিরাজুল ইসলাম কোরবান, জেলা ছাত্রশিবিরের বায়তুল মাল সম্পাদক ইকবাল হোসাইন ও উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাজমুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের যুবকেরা যেভাবে জেগে উঠে স্বৈরাচারী হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছে, তেমনি ভাবেই তারা জেগে উঠলে এদেশে ইসলামী বিপ্লবের পতাকা উড়বে ইনশাল্লাহ। যে আইন দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাদের হত্যা করেছে, সে আইনেই, সেই ট্রাইব্যুনালেই আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে, তাদের বিচারও এই আইনেই হবে। দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে এদেশে আর কখনও হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না ইনশাল্লাহ।