মাসুদ রানা লিখেছেন, এইতো সেদিনের সেই স্মৃতি এখনো বুকে ধারণ করে তার অনুপ্রেরণার উৎস সাহিত্য জগতে আমাদের পথ চলা হোক। কে বলেছে কবি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে, না এখনো বেঁচে আছে আমাদের অন্তরে তার লেখনীর মাঝে তার মনের ভাব প্রকাশ করেছে তার অসংখ্য বইয়ের মাঝে তার মনের কথাগুলো তার লেখনি বইয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলবো তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে সাহিত্য চর্চা করব এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
আল্লাহ তায়ালা শ্রদ্ধেয় গুণী কবিকে বেহেস্ত নসিব করুন আমিন।
সৈয়দ ওয়ালী লিখেছেন, মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে, মামার মৃত্যুর সংবাদ শুনে। শেষের কয়েক বছর যখনই কবিতা নিয়ে কথা হতো সাদিক মামা আমার ও সিদ্দিকের কবিতার প্রশংসা করতেন। আমাকে স্নেহও করতেন। আহা কেমন হঠাৎ করেই না চলে গেলেন! শেষ আড্ডাতে আমি আমার দুটি কবিতা পাঠ করে তাকে শুনিয়েছিলাম এবং মামা তার দুটি কবিতা আমাদের পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। শেষ আড্ডাটা যে কী মমতা মেশানো ছিল বলে বোঝাতে পারব না।
প্রায় ১৪ মাস পর আমি বাড়ি গিয়েছিলাম…! এবং তার সাথে দেখা ও আড্ডা দেবার সৌভাগ্য হয়েছিল। আহা!
কবি সোহেল আমিন বাবু লিখেছেন, কবি সৈয়দ আব্দুস সাদিকের একটি দীর্ঘ সাক্ষৎকার তাঁর বাসায় বসে নিয়েছিলাম । সেটি আমার কাছে আছে। কবিতার বিষয়বৈচিত্র্য, সাম্প্রতিক ভাবনা, কুমারখালীতে বসবাসের অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা ইত্যাদি নানা বিষয় তাঁর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে। অগ্রজ কবিকে সব সময় শ্রদ্ধা করেছি। প্রয়াত কবির প্রতি বিনম্রশ্রদ্ধা।
কবি গুলশান চৌধুরী লিখেছেন, তবে উনি(কবি) আমার অনেক আবদার মিটিয়েছেন। বলেছিলাম আমাকে নিয়ে প্রেমের কবিতা লিখতে হবে। আমার মনের মতো কবিতা লিখে দিয়েছেন। আমি তাই তাকে হিরো কবি বলতাম । প্রথমে লজ্জা পেলেন। পরে আমার বলাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলেন। আবার বললাম কবিতার বই বেড় করবো কিছু লিখে দেন। বললেন না, না। আমি অভিমান করে বললাম লাগবে না। পরে লিটন আব্বাস বলল রাগ করেছে। অমনি লিখে দিলেন। বললাম বাসায় আসতে হবে। ঠিক ই এসেছিলেন পিলখানায়। কিন্তু চারতলা তাই উপরে উঠলেন না। বিজিবি তিন নম্বর গেটের সামনে শাল গিফট করলাম। এমন অনেক আব্দারই মিটিয়েছেন।
তুষার আহমেদ লিখেছেন, ভাবনা, ভালোবাসায় স্মৃতি/ ভেসে ওঠে চারিদিক/ কবিতার আল্পনায় গাঁথা/ কবি সৈয়দ আব্দুস সাদিক।
বিতান কুমার লিখেছেন, আপনার সাথে কয়েকদিন আগেও আমার কথা হলো। তখনও বুঝতে পারিনি, ওটাই শেষ কথা ছিলো।
মেনে নেওয়া দুস্কর।
বাউন্ডুলে মেঘের মতো আপনি উড়ে গেলেন সীমানা পেরিয়ে।
একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও একজন আপাদমস্তক কবি-সৈয়দ আবদুস সাদিকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি সবসময়।
এক জীবন ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াবো আজীবন।
আপনার ছাড়াই চলবে “তবুও বসবাস “।
আপনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায়…
জিয়াউর রহমান মানিক লিখেছেন,
নক্ষত্ররা হারিয়ে যায় একদিন
অজানা ঠিকানায় বসতি গড়ে অরণ্যের সাথে মিলে মিশে
তবুও পৃথিবীর হৃদয় জুড়ে তার উষ্ণতা বেঁচে থাকে স্মৃতিময় ক্যানভাসে
যাপিত জীবনের দীর্ঘশ্বাস গুলো
চেনা প্রশ্বাস হয়ে নিত্য বয়ে চলে
জীবন নদীর এপাড় ওপার
কবি প্রস্থান তেমন এক দীর্ঘশ্বাস হয়ে রাতের দরবারি সুরের মূর্ছনায় ভাসে
ভোরের শিশিরের গায়ে
আমাদের ভাললাগা আপন গুলো
একদিন বয়স্ক বটের ছায়া হয়ে প্রশান্তির
মেঘে মেঘে ভাসে
সে প্রশান্তির ছায়া হয়ে
ধ্রুপদী সুরের স্বরলিপি গেঁথে
স্মরণিকা হয়ে থাকুন হে কবি
আমাদের জীবন বীণার তারে ।